পেকুয়ার হরিণাফাঁড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। উক্ত কাজে অসন্তোষ্ট হয়ে এলাকার লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এ কাজের অনিয়ম দূর্ণীতি বন্ধে মানববন্ধন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরুন সংঘ নামের একটি সংগঠন। জানা যায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্য বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় একটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টার ঘোষনা দেয় বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্যে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন হরিণাফাঁড়ি এলাকায় শূণ্য ক্যাটাগরীতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। সেই আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ওই এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাবনা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করেন। পরে মরহুম মাহামুদুল হক চৌধুরীর ওয়ারিশগণ তাদের পিতার নামে স্কুল প্রতিষ্টা করার জন্য জায়গা দান করেন। ওই জায়গায় বিদ্যালয় নিমার্ণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। ওই টেন্ডারে চকরিয়ার ফেন্ডস ট্রের্ডাস নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটি ওই বিদ্যালয়ের নিমার্ণ কাজ পায়। যার ব্যয় মূল্য ৯৫ লক্ষ টাকা। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক নুরুল হক বক্স। আর এ জায়গায় নির্মিত হচ্ছে হরিণাফাড়িঁ মাহামুদুল হক চৌধূরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নির্মাণ কাজ শুরু করার সাথে সাথে অনিয়ম ও দূর্ণীতির আশ্রয় নেয়। পাইলিং করার জন্য মাটি যুক্ত বালু এবং লবণাক্ত পানি দিয়ে পিলার তৈরি করে। যা নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে লোকদেখানো বান করে এল জি ডির উপজেলা প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এবং ওয়ারকারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ১ নং বালু এনে পাশে স্তুব করে রেখে ২ নং বালু দিয়ে পুনরায় পিলার তৈরি কাজ শেষ করে। সিডিউল অনুযায়ী ওই পিলারে লোহার রড ব্যবহার করার কথা ছিল ৫ সুতা এতে দেওয়া হয়েছে ৩ সুতা পিলারের সাইজ ১০ ইঞ্চি বাই ১০ ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও তারা দিচ্ছে ৬ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি। এদিকে পাইলিং করার সময় পিলার গুলো নিয়ে যাওয়ার সময় অর্ধেক এর বেশি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে মাটি হয়ে যায়। এ সব দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে যায়। যা নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনের সাথে স্থাণীয়দের মধ্যে যেকোন মহুর্তে সংঘর্ষ হওয়া আশংস্কা করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে ওই কাজের মেয়াদ সীমা শেষ। তাই দায়সাড়া ভাবে বিল পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল নিমার্ণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব দৃশ্য দেখা যায়। ঠিকাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাছির উদ্দিন নামের ব্যক্তির সাথে কথা হয়। সে জানান আমি যথাযথ নিয়মে কাজ করে যাচ্ছি। কোন ধরণের অনিয়ম করা হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত এল জি ডির প্রকৌশলী ও ওয়ারকার ফারুক থাকে। কিন্তু এখন আছে কি জানতে চাইলে সে জানায় আছে কোথায় তাকে খোজলে আর পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা এল জি ডি অফিসে আসার পথে উপজেলা গেইটে একটি চায়ের দোকানে আড্ডারত অবস্থা দেখা যায় ওই ফারুককে। স্থানীয়রা জানান ওয়ারকারকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সরিয়ে দিয়ে তারা কাজ চালায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী হারু কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওই কাজে আমার লোক আছে তারপরও বিষয়টি দেখছি। ওই কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে না হয় বরাদ্দ চলে যাবে। তাই আপনি অফিসে এসে যোগাযোগ করে যান।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধূরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
###################
পেকুয়ায় দায়সাড়া ভাবে বসতি উচ্ছেদ অভিযান বন বিভাগের
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া:
পেকুয়ায় দায়সাড়া ভাবে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ অভিযান করেছে বন বিভাগ। গত ৮ এপ্রিল ১১ টায় থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া ২০০৩-০৪ সালের বনায়নে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম বন বিভাগের অধিন পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার ২০০৪ সালের সামাজিক বনায়নে কিছু সংঘবদ্ধ অসাধু লোকজন অবৈধ বসতি গড়ে তোলে। এ সংক্রান্ত অভিযোগে ওই দিন সকাল ১১ টায় বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসার উত্তম কুমার পালের নেতৃত্বে টইটং বারবাকিয়া ও পহরচাঁদা বনবিট সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩টি শক্ত মাটির গুদাম, ২টি টিনের ছাউনী ও ২টি অস্থায়ী ভাবে নির্মীত অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দেয়।
এদিকে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ তুলেছেন উচ্ছেদ হওয়া লোকজন। তাদের অভিযোগ বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা দায়সাড়া ভাবে লোক দেখানো বান করে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। ওই এলাকায় আরো অবৈধ বসতি রয়েছে। এসব অবৈধ বসতি থেকে ওই বন কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত টাকা হাতিয়ে নেয়। যারা টাকা দেয়না তাদের গুলো অবৈধ হয়ে য্য়া। আর টাকা দিলে বৈধ হয়ে যায়। ওই কর্মকর্তারা প্রতিদিন সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রয় করে গাছ ক্রেতাদের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়ে সামাজিক বনায়নের ছোট ছোট গাছ নিধন করার সুযোগ দিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে সম্প্রতি পেকুয়া বাজারের এক গাছের ব্যবসায়ী থেকে উত্তম কুমার পাল লক্ষ টাকার বিনিময়ে বনায়নের গাছ পাচার করার সুযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উচ্ছেদের কথা স্বীকার করেন। উচ্ছেদ হওয়া লোকজনের অভিযোগ সম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলে বনায়নের জায়গায় কাউকে অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণ করতে দেওয়া হবে না। গাছ ব্যবসায়ী থেকে টাকা নিয়ে গাছ পাচারের কথা জানতে চাইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
#######################
চকরিয়ায় সড়ক দূঘর্টনায় আহত পেকুয়ার শ্রমিকের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া:
কক্সবাজার চকরিয়া চট্টগ্রাম মহাসড়কের বানিয়ারছড়া এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূঘর্টনায় আহত পেকুয়ার শ্রমিক আমির হোছাইন মৃত্যু বরণ করেছে। গত ৮ এপ্রিল রাত ১০ টায় চট্টগ্রামস্থ প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। সে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র। মৃত্যুকালে এক স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তান রয়েছে তার। গত ৯ এপ্রিল ২ টায় আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাযা শেষে মরহুমকে আন্নর আলী মাতবর পাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ যে গত ৪ এপ্রিল পেকুয়া চৌমুহনী এলাকার আবু তালেব মাঝির অধিনে একটি মিনি পিকআপ নিয়ে ঢালার কাজে ব্যবহৃত মিক্সার মেশিনসহ ২০-২৫ জন শ্রমিক ঈদগাঁও তে কাজ করতে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ওই স্থানে কক্সবাজার থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের বহন কারী মিনিপিকআপকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ২ জন শ্রমিক নিহত ও ১৫ জন শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়।
পাঠকের মতামত: